রোহিঙ্গারা কেন আজ গৃহহারা? Why Rohingya Refugees are Homeless?
মায়ানমারের জাতিগত ধন্ধের স্বীকার যারা রোহিঙ্গা বলে স্বীকৃত তারা জন্মগত ভাবে মুসলিম এবং সংখ্যালগু ছিল। তারা ছিল মায়ানমারের অধিবাসী। মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা করা হয় বহু বার। মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদেরকে নাগরিকত্ত থেকে বঞ্চিত করে। তাদের দাবি রোহিঙ্গারা বাংলাদেশী। রোহিঙ্গাদের জাতিগত ভাবে নিধনের চেষ্টায় মায়ানমারের বোদ্যরা সর্বদা সচেষ্ট ছিল।
১৯৭০ সালের দিকে প্রথম কিছু রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ১৯৯০ সালে ক্রমাগত ভাবে প্রবেশের ফলে এর সংখ্যা গিয়ে দাড়ায় ২৫০,০০০ এ। এর পর ২০০০ সালের কিছু পূর্বে ২০,০০০ রোহিঙ্গাকে মায়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। পরবর্তীতে আবারও ২০১৫ এবং ২০১৭ সালে প্রায় ৩০০,০০০ (তিন লক্ষ) থেকে ৫০০,০০০ (পাঁচ লক্ষ) রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে।
যার কারন ছিল মায়ানমার সরকারের সেনাবাহিনী এবং বোদ্যরা মিলে রোহিঙ্গাদের এমন কোন অত্যাচার বাকি ছিল না যা তাদের উপর চালায় নাই। তারা রোহিঙ্গাদেরকে হত্যা, ধর্ষণ, আগুনে পুরিয়ে মারা, জ্যান্ত কেটে ফেলা সহ বহু হত্যাযজ্ঞ চালায়।
জাতিসংঘের মতানুসারে, রোহিঙ্গাদের উপর চলা এ নির্যাতনকে চরম মানবতা বিরোধী অপরাধ বলা হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যশনাল বলেছে-
"রোহিঙ্গাদের চলাচলের স্বাধীনতা ব্যপকভাবে নিয়ণ্ত্রিত এবং তাদের অধিকাংশের বার্মার নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে। তাদের উপর বিভিন্ন রকম অন্যায় ও অবৈধ কর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের জমি জবর-দখল করা, জোর-পূর্বক উচ্ছেদ করা, ঘর-বাড়ি ধ্বংস করা এবং বিবাহের উপর অর্থনৈতিক অবরোধ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।"
কোন উপায়ন্তর না দেখে রোহিঙ্গারা বাঙ্গালদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করে। বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে যে উদারতা দেখিয়েছে তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। শুধু আশ্রয়ই দেন নাই তাদের খাদ্যের বন্দবস্ত, চিকিৎসার বেবস্থা করেছেন। রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে কথা বলেন, তাদের অত্যাচারের বিচার দাবি করেন এবং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিকদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন যাতে করে এই সমস্যার সুষ্ট সমাধান করা যায়।
সূত্রঃ Wikipedial.org
No comments